সাহায্য ছাড়া দেউলিয়া হয়ে যাবে ভারতের বিমান সংস্থাগুলি
করোনা সংকটের জেরে ২১ দিনের বেশি ভারতে বিমান চলাচল বন্ধ। বিমান সংস্থাগুলির ক্ষতি হচ্ছে বিপুল। সরকারি সাহায্য না পেলে তাদের অনেকেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আগামী দিনে তাদের পক্ষে আর প্লেন চালানো সম্ভব হবে না। সরকার এখনও বিমান সংস্থাগুলির জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে নি।
ভারতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শেষ হচ্ছে ৩ মে। এর আগে স্থির হয়েছিল, ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হবে। তার পরে অনেকে বিমানের টিকিট বুকিং করেছিলেন। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় যে ফ্লাইটগুলি ক্যানসেল হয়েছে, তাদের টিকিটের টাকা রিফান্ড করতে পারছে না বেশিরভাগ সংস্থা। তার বদলে স্পাইসজেট, ভিস্তারা, ইন্ডিগো এবং গোএয়ারের মতো সংস্থা যাত্রীদের জানিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যে বুকিং করেছিলেন, তাঁদের অর্থ ‘ক্রেডিট সেল’-এ জমা আছে। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে তাঁরা সেই অর্থ দিয়ে ফের টিকিট বুকিং করতে পারবেন।
সরকার বড়সড় ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা না করলে এই বিমান সংস্থাগুলির বেশিরভাগ আর ক’মাস টিকতে পারবে সন্দেহ আছে। ভারতে বেসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্র মনিটর করে সেন্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাভিয়েশন নামে এক সংস্থা। তাদের বক্তব্য, “বেশিরভাগ ভারতীয় উড়ান সংস্থা ব্যবসায় সাধারণ ওঠাপড়া সামলাতে হিমসিম খেয়ে যায়। তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে বা অর্থনীতিতে সাধারণ মন্দা দেখা দিলে তারা মুশকিলে পড়ে। আর এখন এমন সংকট এসেছে যা প্রতি শতাব্দীতে একবারই আসে।”
একটি সূত্রে খবর, তিন মাস ধরে যদি শাটডাউন চলে, তাহলে ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের মিলিত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১২৫ থেকে ১৫০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ কোটি থেকে ১১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত।
শুধু ভারতে নয়, অতিমহামারীর ধাক্কায় বিশ্ব জুড়েই সংকটে পড়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল। বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের জন্য বিপুল অঙ্কের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ নিয়ে এসেছে। না হলে ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারাবেন।