শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ৬টি বিশেষ ফ্লাইটে ১২শ ৭২ বিদেশি নাগরিক ঢাকা ছেড়েছেন
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৬ টি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়া ও ভুটানের ১ হাজার ২৭২ জন নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন।
সুত্র মতে, ৫ এপ্রিল কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩২২ জন মার্কিন নাগরিক, এর আগে ২ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইটে জাপানের ৩২৭ জন নাগরিক ঢাকা ছাড়েন। ৩০ মার্চ কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক ঢাকা ছেড়ে যান। ২৪ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সে দেশের ২৩০ জন এবং ২৫ মার্চ ড্রুক এয়ারের দুটি ফ্লাইটে ভুটানের ১২৪ নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের সার্বিক সহায়তায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে সরকার। এ কারণে বিদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের সার্বিক সহায়তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ঢাকায় অবস্থিত যে সব বিদেশি মিশন তাদের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের এ দুর্যোগকালে পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য নিজ নিজ দেশে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক, তাদের যেকোনো সহযোগিতার বিষয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দু’টি বিশেষ ফ্লাইটসহ এখন পর্যন্ত ছয়টি বিশেষ ফ্লাইটে ১ হাজার ২ শত ৭২ জন বিদেশি নাগরিক নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তাদের অধিকাংশই নিয়মিত যাত্রী, যারা বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারির আগে বাংলাদেশে এসেছিল এবং নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধের কারণে এ দেশে আটকা পড়েন। তারা তাদের দূতাবাসগুলোর সঙ্গে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে যোগাযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসগুলো বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রগামী অধিকাংশ যাত্রীই বাংলাদেশি বংশোদ্ভত মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা, যারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্থায়ী বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ সেদেশে ফিরে যাওয়ার আইনী বাধ্যবাধকতার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ফেরত গেছেন। জাপানি এবং রাশিয়ান নাগরিক যারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন তাদের একটি বড় অংশ এদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাদের কোনো কাজ না থাকায় তারা নিজ পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের সবাই বাংলাদেশে ফিরে আবার কাজে যোগ দেবেন বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।