শাহজালাল বিমানবন্দরে সুনসান নীরবতা, পুরো টার্মিনাল ফাঁকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যেখানে দিনে ২৮টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১২০টির বেশি ফ্লাইট ওঠা-নামা করতো। দিন রাত বিমানবন্দরে লেগেই থাকতো মানুষের আনাগোনা। ব্যস্ত সময় পার করতেন বিমানবন্দরের কর্মীরাও। কিন্তু সেই বিমানবন্দরে এখন সুনসান নীরবতা। আকাশে নেই তেমন বিমান ওড়ার দৃশ্য। থমকে গেছে সব কার্যক্রম। করোনা ভাইরাস রোধে চীন বাদে অন্য সব দেশের সঙ্গে প্লেন যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ।
সরজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দর ছিল কার্যত বন্ধ। পুরো টার্মিনাল ফাঁকা। বিমানবন্দরের ভেতরে রানওয়েতে রয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও অাসে নি। চিরচেনা ব্যস্ততা নেই। এ যেন এক অচেনা বিমানবন্দর।
বিমানবন্দরে যেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা পাওয়া যেতো না, সেখানে পার্কিং জোনও পুরো ফাঁকা। বিমানবন্দরে আসা গাড়িগুলোর যট সামলাতে ব্যস্ততা নেই আর্মড পুলিশ সদস্যদের। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে যেখানে ব্যস্ত থাকতে হতো পুলিশ সদস্যদের, সেখানে তারাও নীরবে দাঁড়িয়ে আছেন চেকপোস্টগুলোতে। বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের ভিড় না থাকায় টিকিট কাউন্টারগুলোও ফাঁকা। বিদেশগামী যাত্রী না থাকায় টার্মিনালেও নেই যাত্রীদের কোনও লাইন।
এদিকে বিদেশগামী ও বিদেশ থেকে আসা যাত্রী না থাকায় ইমিগ্রেশনেও ছিল না কোনো ব্যস্ততা। ইমিগ্রেশন পুলিশ অনেকটা অলস সময় পার করছে। বিমান বন্দরের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরও নেই আগের মতো কাজের চাপ।
সার্বিক বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ ও অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। ফলে বিমানবন্দরের ব্যস্ততা কমেছে।
নিউজ সোর্স – বাংলা নিউজ ২৪