শাহজালাল বিমানবন্দরে তিন স্ক্যানারের দুটিই নষ্ট
দেশে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রবেশ ঠেকাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে শুরু থেকেই। কিন্তু শাহজালালসহ দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বিকল হওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রী প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং (স্বাস্থ্য পরীক্ষা) কার্যক্রমে ভরসা শুধু হাতে ধরে ব্যবহারের স্ক্যানার (হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার)। স্ক্যানারসংকটে সব যাত্রীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এদিকে কোনো কোনো এয়ারলাইনসের যাত্রীদের হেলথ ডিক্লারেশন ফরম জমা দেওয়া এবং তা পরীক্ষায়ও গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই দ্রুত স্ক্যানার সংগ্রহ, হেলথ ডেস্কে জনবল বাড়ানো, এয়ারলাইনস ক্রুসহ যাত্রীদের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নির্দেশনা পালন জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার কুয়েত যেতে ইচ্ছুক এক দল মানুষ রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ভবনে জড়ো হয়ে জানায়, সকালে তারা ভিসার জন্য কুয়েত দূতাবাসে গেলে সেখান থেকে জানানো হয় আইইডিসিআর থেকে করোনাভাইরাসমুক্ত সনদ নিয়ে আসতে হবে। এতে বিপাকে পড়েছে তারা। তাদের বেশির ভাগই কুয়েতপ্রবাসী, ছুটিতে দেশে এসেছে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ধরনের সনদ দেওয়ার জন্য আজ-কালের মধ্যেই একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, আগের দিন যে তিনজন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস না পাওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঢাকার বাইরে করোনাভাইরাস আতঙ্কে মোংলা বন্দরের একটি বিদেশি জাহাজের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এমভি সেরিনিটাস এন’ জাহাজের কাজ বন্ধ রাখে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকর উদ্দিন জানান, গত বুধবার ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসে জাহাজটি। এর তিনজন ক্রু হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ভারত থেকে জ্বর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল সকালে দেশে ফিরেছেন হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না সেই ‘সন্দেহ’ থাকায় তাঁকে নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তিনি পরিবারের পাঁচজনকে নিয়ে ভারতের আজমির শরিফে গিয়েছিলেন।
তিন বিমানবন্দরে হাতে ব্যবহারের স্ক্যানারই ভরসা দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালালে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটিই নষ্ট হয়ে গেছে। বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শাহজালালে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে একটি চালু আছে। বাকিগুলো সম্প্রতি নষ্ট হয়েছে। এগুলো দ্রুত আনার জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। তবে এখন হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
জানতে চাইলে হযরত শাহজালালে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগের মতোই রুটিনমাফিক কাজ চলছে। কিছু এয়ারলাইনস হেলথ ডিক্লারেশন ফরম ঠিকমতো পূরণ করছে না। তারা অবতরণের পর বোর্ডিং ব্রিজে এসব ফরম পূরণ করছে। এতে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। মাত্র একটি থার্মাল স্ক্যানার চালু থাকায় আমরা এর সঙ্গে ইনফ্রারেড হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা এক লাখ ৮০ হাজার জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই বিমানবন্দরে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য থাকা আধুনিক থার্মাল স্ক্যানারটি ৯ মাস ধরেই বিকল। এখন দূর থেকে ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’ দিয়েই হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এই পরীক্ষা করতে গিয়ে যাত্রীদের দীর্ঘলাইন লেগে যাচ্ছে; ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। এই সুযোগে অনেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই বিমানবন্দর ছাড়ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টার মধ্যে শিফটে স্বাস্থ্য পরীক্ষার লোকবল থাকে দুজন। ফলে সেই শিফটে বেশির ভাগ যাত্রীকে স্ক্রিনিং সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। এই সুযোগে অনেক যাত্রী স্ক্রিনিং না করেই পার হয়ে যাচ্ছে।
গত ২৬ জানুয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় জনবলের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এ বি এম সারওয়ার-ই-জামান। কিন্তু গত এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক লোকবল পাননি তিনি। বেবিচকের চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও পণ্য আমদানি-রপ্তানির কারণে ঢাকা হয়ে অনেক চীনা নাগরিক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে শাহ আমানতে আগমন ও প্রস্থান করে থাকেন। ইদানীং আমাদের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে লোকবল সংকটের কারণে যাত্রীদের যথাযথ সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না। এখানে নিয়মিত পদে একজন এবং সংযুক্তিতে মাত্র একজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন।’
এদিকে ওসমানী বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রায় দেড় বছর ধরে বিকল রয়েছে জানিয়ে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, এটি সচল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে; কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়ায় সেটি এখনো সচল করা যায়নি।
এদিকে দেশের প্রধান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে করোনাভাইরাস ইস্যুতে যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি আগত যাত্রীদের দেওয়া হেলথ ডিক্লারেশন ফরমও ঠিকমতো না পড়া, থার্মাল স্ক্যানারের সব যাত্রীর ইমেজ ঠিকমতো না দেখার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, সবাইকে মনে রাখতে হবে, থার্মাল স্ক্যানারে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে না। করোনার উপসর্গ হিসেবে জ্বর থাকলে সেটি শনাক্ত হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে যারা আসছে, তাদের ১৪ দিন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হবে। কারণ উপসর্গ ১৪ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ইরান, ইতালি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের ‘অন অ্যারাইভাল’ ভিসা সুবিধা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশে অন্যান্য প্রস্তুতির পাশাপাশি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ আছে খোদ স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যেই। রাজধানীর উত্তরায় কুয়েতমৈত্রী হাসপাতালকে করোনাভাইরাসসংক্রান্ত বিশেষায়িত হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পাশাপাশি সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা পর্যায়ে সদর হাসপাতালেও ছোট পরিসরে আইসোলেশন ইউনিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে দেশে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটলে এই ব্যবস্থাপনায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন। সেদিকে নজর রেখে সরকার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা আরো উপযুক্ত মাত্রায় তৈরির পথ খুঁজছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ঘোষণার পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) প্রায় সমপরিমাণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে। এই দুটি সংস্থার সহায়তা পেলে করোনাভাইরাস মোকাবেলার অবকাঠামোসহ উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে আর সমস্যা থাকবে না।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সময় মহাপরিচালকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন করোনাবিষয়ক সরকারি মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির সর্বোচ্চ গুরুত্ব রয়েছে। তবে যেসব সীমাবদ্ধতা আছে সেগুলো কিভাবে কাটানো যায় তা নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায় থেকে কাজ চলছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেউ কেউ এমন কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যা করোনাভাইরাসের মতো চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার জন্য উপযুক্ত নয়। বরং তা সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ কেউ হাসপাতালের ওপরতলার দিকে আইসোলেশন ইউনিট চালুর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের জন্য কোনো হাসপাতালেই ওপরতলায় নেওয়া ঠিক নয়।’ আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, ভয় বেশি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা নিয়েই। সন্দেহজনক যারা হাসপাতালে আসেন তাঁরা তাঁদের পরীক্ষার ফল ভালো না আসা পর্যন্ত সবাই ঝুঁকিতে থাকেন।
সিলেটে দুবাইফেরত ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে : সিলেট অফিস জানায়, সিলেটে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুবাইফেরত এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। ওই প্রবাসী বর্তমানে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একটি আইসোলেশন কেবিনে চিকিৎসাধীন। গত বুধবার রাতে তাঁকে ওখানে ভর্তি করা হলে গতকাল ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া ওই প্রবাসীর বাড়ি কানাইঘাট উপজেলায়। তিনি দুবাইয়ে একটি হোটেলে কাজ করতেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে আসেন। এরপর তিনি জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে তাঁকে সন্দেহ করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ওই প্রবাসী অনেক দিন থেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি দুবাইয়ে একটি হোটেলে কাজ করতেন। সেই হোটেলে চীনের বেশ কয়েকজনও অবস্থান করছিলেন। এ কারণে তাঁর প্রতি সন্দেহ আরো গাঢ় হয়েছে। তবে কোনো কিছুই এখনো নিশ্চিত নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু হয়নি। তবে সতর্ক থাকতে হবে।
ভারত থেকে জ্বর নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে : ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ভারত থেকে জ্বর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল সকালে দেশে ফেরা ব্যক্তি সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রবেশের পর নো ম্যানস ল্যান্ডে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। গায়ের তাপমাত্রা বেশি থাকায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাধারণ যানবাহনে না নিয়ে ওনাকে একটি গাড়িতে করে বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বিষয়টি হবিগঞ্জের জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হয়েছে।
নিউজ সোর্স – কালের কণ্ঠ