লকডাউনের পরে মাঝের আসন খালি রাখতে নির্দেশ, আপত্তি বিমান সংস্থাগুলোর
লকডাউন উঠলে ভারতে কবে থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। একই ভাবে ঠিক নয় বিমান সফরের সময়ে এবার কী ধরনের নিয়ম লাগু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন উঠে গেলেও এখনও অনেক দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই বিমানের মাঝের আসন খালি রাখার কথা বলেছিল ভারত সরকার। কিন্তু তাতে রাজি নয় ভারতের অনেক বিমান সংস্থাই। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু মাঝের আসন খালি রাখলেই কি প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব রাখা যাবে? দ্বিতীয় যে প্রশ্ন উঠেছে, তাতে বলা হচ্ছে, কম যাত্রী তুললে বিমান সংস্থাগুলি লাভ করতে পারবে কি?
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, মাঝের আসনগুলি খালি রাখা হোক। কিন্তু সেটা হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষা তো হবেই না তার বদলে বিমান সংস্থাগুলি ক্ষতির মুখ দেখবে বলে দাবি উঠেছে। লকডাউনের ফলে এমনিতেই বিমান চলাচল বন্ধ থাকার জন্য ক্ষতির মুখ দেখছে সংস্থাগুলি। এর পরে কম যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচল করলে আরও ক্ষতি হবে বলেই তাঁদের বক্তব্য।
বিমান সংস্থাগুলির বক্তব্য এর পরিবর্তে, এখন থেকে বিমানে সফরের সময়ে যাত্রী এবং কর্মীদের পার্সোন্যাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টের মতো স্যুট, গ্লাভস এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। ভারতের কম খরচের বিমান সংস্থা স্পাইসজেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, “মাঝের আসন খালি রাখলে যথেষ্ট নিরাপত্তা বজায় থাকবে না। জানলার পাশের আসন এবং ধারের আসনে যাত্রী বসলে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় থাকবে না। বরং, মহামারীর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বিমান সংস্থাগুলি আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।” তাঁর দাবি, এর চেয়ে সব যাত্রীর গ্লাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা বেশি কাজে দেবে।