দুবাইয়ে আটকা প্রবাসীদের খাবার পাঠালেন সুজানা
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আরব আমিরাতে চলছে লকডাউন। এমন অবস্থায় সেখানে আটকে পড়েছিলেন। খাবার ও পানি কিনে আনারও অবস্থা ছিল না তাদের। নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন দুবাই প্রবাসী এ তরুণ। কি মনে করে সুজানাকে মেসেজ দিলেন। দুবাইয়ে আটকে পড়ে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন সুজানা। তিনিও আদার বক্সের মেসেজ কি মনে করে চেক করলেন।
দেখলেন খাদ্য সহায়তা চেয়ে কক্সবাজারের এক তরুণ মেসেজ দিয়েছে। সুজানা সবিস্তারে শুনলেন। জানতে পারলেন ওই এলাকায় ১৩ জন বাংলাদেশি তরুণ এক সঙ্গে কাজ করেন। টাকা মুখ্য নয়, খাদ্য পৌঁছানোই কঠিন কাজ। সুজানা মেসেজ পেয়ে প্রস্তুতি নিলেন, এমন আরো আটকে পড়া ১৫ জন বাংলাদেশির সন্ধান পেলেন, যারা খাবার পাচ্ছিলেন না। এই ২৮ জন বসবাস করেন দুবাইয়ের ডেইরা ও বানিয়াসে।
উদ্যোগ নিলেন। ভাইয়ের মাধ্যমে বাজার করে ওই সব আটকে পড়া বাংলাদেশির ঠিকানায় খাবার পৌঁছালেন। নিজেদের আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে এলাকা গুলোতে খাবার পৌঁছাতে হয়েছে।
দুবাইতে থাকা ওই প্রবাসীরা জানিয়েছেন, তাদের বাড়ি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা। তাদের একজন বলেন, ‘আমরা সুজানা ম্যাডামের ভক্ত। তাকে অনুসরণ করতাম। আমরা যখন বিপদে পড়েছি তখন সুজানা ম্যাডামকে মেসেজ দিয়েছি। তিনি আমাদের বিস্তারিত জানতে চান, তাকে আমরা সাথে সাথে পাসপোর্টের ছবি তুলে পাঠালাম। কারণ আমরা ক্ষুধার্ত, আমাদের যেকোনোভাবে খাদ্য লাগবে। ম্যাডাম বিশ্বাস করলেন।
তাদের একজন জানান, গত ২০-২২ দিন তারা গৃহবন্দি। কাজ বন্ধ। মোটেও বাইরে যেতে পারছেন না। বেতনও হাতে পাননি। খাওয়া দাওয়ায় বেশি সমস্যা পড়েছেন গত শেষ ২ দিনে।
দুবাইতে অবস্থানরত সুজানা বলেন, ‘আসলে এই দুবাইতে থেকে এমনভাবে মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো ভাবি নি। দেশে আমার নির্দেশনায় আমার ম্যানেজার কাজ করছে। কিন্তু দুবাইয়ে এ রকম অবস্থা হবে ভাবতে পারি নি। আমি প্রথমে মেসেজ দেখে মনে করছি আমার সাথে কেউ মজা করার চেষ্টা করছে। পরে আমাকে পাসপোর্টের পাতার ছবি তুলে পাঠালো। এরপর আমি চেষ্টা করলাম ওদের খাদ্য পাঠাতে। ওরা যে সব এলাকায় রয়েছে সে সব এলাকায় পৌঁছানো একটু কঠিন ছিল।’
নিউজ সোর্স – ঢাকা টাইমস