এয়ার ট্রাভেলের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জেনে রাখুন
বিমানে জার্নির আগের প্রস্তুতি হিসাবে যেসব বিষয় জানা অথবা করা প্রয়ােজন –
১ । আপনার পাসপাের্টের মেয়াদ সম্পর্কে জেনে নিন । সাধারণত কোন দেশ ভ্রমনে পাসপাের্টের নুন্যতম মেয়াদ ৬ মাস , ৩ মাস , ০৮ মাস অথবা ভ্রমনকালীন অবস্থানের সময় পর্যন্ত থাকতে হয় । অনাকাংখিত ঝামেলা এড়াতে পূর্বেই জেনে নিন আপনি যে দেশ ভ্রমন করছেন সেখানে প্রবেশে, পাসপােটের ন্যুনতম কত দিন মেয়াদ থাকা প্রয়োজন ।
২ । টিকেট সংগ্রহের সময় ভ্রমণকারীর নিজের মােবাইল নং এবং ই – মেইল এড্রেস সরবরাহ করুন । যাতে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্ব হলে আপনার সাথে জরুরী যােগাযােগ করতে পারে ।
৩ । টিকেট সংগ্রহের সময় জেনে নিন আপনি কত কেজি মালামাল বহন করতে পারবেন।
৪ । টিকিট সংগ্রহের সময় জেনে নিন আপনি কি কি পণ্য বহন করতে পারবেন ।
৫ । বৃদ্ধ , অসুস্থ ব্যক্তি , অন্তঃসত্ত্বা মহিলা থাকলে সে তথ্য পূর্বেই এয়ারলাইন্সকে সরবরাহ করুন । ৩৩ ( তেত্রিশ ) সপ্তাহের বেশী অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এয়ার ট্রাভেলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের মেডিকেল বাের্ডের অনুমতি প্রয়ােজন হয় । অটিস্টিক , অসুস্থ ও বৃদ্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফিটনেস সার্টিফিকেট চাইতে পারে ।
৬ । অসুস্থ বা বৃদ্ধ যাত্রীর হুইল চেয়ার লাগলে পূর্বেই এয়ারলাইন্সকে অবহিত করুন ।
৭ । নির্ধারিত Weight allowance এর বেশী পণ্য পরিবহনের প্রয়োজন হলে বাড়তি চার্জ দিতে হবে । এয়ারলাইন্স ভেদে এ চার্জ ভিন্ন হয়ে থাকে । সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের ওয়েব সাইট থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন ।
৮ । নির্ধারিত দিনে যাত্রার পূর্বে আপনার মেইল চেক করে নিশ্চিত হউন ফ্লাইট সিডিউলে কোন পরিবর্তন আছে কিনা , ট্রাভেল এজেন্সী / এয়ারলাইন্সকে ফোন করেও জেনে নিতে পারেন ।
৯ । বিদেশ ভ্রমনে সর্বোচ্চ ৫ ,০০০/- ( পাঁচ হাজার ) ডলার সম মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা এনডর্স ( Endorsement ) করিয়ে নিন । এনডর্সমেন্ট ব্যতিত ভ্রমন করতে পারবেন না । শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ১২ ,০০০/- ( বার হাজার ) মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা নিতে পারবেন ।
১০ । ৫ ,০০০/- টাকার বেশী দেশীয় মুদ্রা সাথে রাখবেন না ।
১১ । মূল্যবান সামগ্রী যেমন – টাকা , অলংকার , মােবাইল , ঘড়ি , ল্যাপটপ , ট্যাব , জরুরী ঔষধপত্র , যাত্রা সংশ্লিষ্ট প্রয়ােজনীয় ডকুমেন্ট চেকইন লাগেজে রাখবেন না ।
১২ । ট্যুরিষ্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপ – ডাউন টিকেট , হােটেল বুকিং ডকুমেন্ট , এনডর্সমেন্ট অবশ্যই থাকতে হবে । আপ ও ডাউন টিকেট একই এয়ারলাইন্সের হতে হবে।
১৩ । টিকেট সংগ্রহের সময় আপনার পাসপাের্ট , ভিসার নামের সাথে টিকেটের নাম মিলিয়ে নিন । পাসপাের্ট ভিসা ও টিকেটের নামের অমিল হলে চেকইন , ইমিগ্রেশন এবং আই . এন . এস চেকিং এ বাের্ডিং ডিনাই হতে পারে ।
১৪। টিকেট সংগ্রহের সময় জেনে নিন আপনার টিকেট রিফান্ডেবল নাকি নন রিফান্ডেবল। কারণ নন রিফান্ডেবল হলে ফ্লাইট মিস করলে আর চেঞ্জ করা যাবেনা। পুরো নতুন টিকেট করতে হবে।
১৫। আপনার দীর্ঘ ভ্রমণপথে ৮ ঘণ্টার বেশি ট্রানজিট থাকলে ওই দেশের ট্রানজিট ভিসা লাগতে পারে। এইটা দেশ অনুযায়ী পার্থক্য হতে পারে।
১৬। ফ্লাইং টাইমের ৩ ঘণ্টা আগে অবশ্যই এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকবেন। নাহয় চেকিন, চেকিং, ইমিগ্রেসন ইত্যাদি আনুষ্ঠানিক কাজের জন্য ফ্লাইট মিস হতে পারে।
১৭। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিন্তু ওই পাসপোর্টের ভিসার মেয়াদ আছে। তাহলে নতুন পাসপোর্টে ভিসা স্থানান্তর করতে হবে।
১৮। ক্রেডিট কার্ডে টিকেট করা হলে চেকিনের সময় ক্রেডিট কার্ড সাথে রাখুন। চেকিনের সময় দেখতে চাইতে পারে। অন্য কারো কার্ড দিয়ে করলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স অফিসে গিয়ে ভেরিফাই করিয়ে আনুন। অন্যথায় বোর্ডিং ডিনাই হতে পারে।
১৯। বেল্ট থেকে লাগেজ গ্রহণের সময় নিশ্চিত হোন আপনার লাগেজটি কাটা, ছেড়া কিংবা ভাঙ্গা কিনা। এরকম অবস্থায় পেলে এয়ারলাইন্স কিংবা লস্ট এন্ড ফাউন্ডের নির্ধারিত ফর্মে কমপ্লেইন করুন। লস্ট এন্ড ফাউন্ড ০১ নং বেল্টের পাশে অবস্থিত।
২০। কোন কারণে ব্যাগেজ না পেলে লস্ট এন্ড ফাউন্ড ডেস্ক অথবা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে পি আই আর ফরম সংগ্রহ এবং পূরণ করে জমা দিন। এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টকে অবহিত করুন। ০১৩০৪-০৫০৬০৩
উপরের পোস্টটি অল এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা এয়ারপোর্টের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটগণ। অল এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেইজ লিংক – এইখানে ক্লিক করুন।